রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপুল ব্যবধানে হারে হতবাক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। গতকাল শনিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সব নেতাই এই বিষয়ে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভোট কেন কমেছে, বিএনপির ভোট বাড়ার কারণ কী? এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কোনো নেতা প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে তাতে সব মহলের সাধুবাদ এসেছে। সরকার এমন নির্বাচনই চায়। তবে রংপুরে দলীয় প্রার্থীর এত কম ভোট পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেন তিনি।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে কয়েকটি দল গঠন করে জেলায় জেলায় সফর করার পরামর্শ দেন। এসব সফরে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের দুর্নীতি ও অতীতের শাসনের নেতিবাচক দিক প্রচারের নির্দেশনা দেন। এটাকে নির্বাচনী সফর হিসেবে নেওয়ারও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে ৫ জানুয়ারি দশম সংসদের চার বছর পূর্তি, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একজন নেতা জানান। আর এসব কর্মসূচির মূল বিষয় হবে বিএনপির দুর্নীতি ও হরতাল-অবরোধে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানায়। এর মধ্যে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডের কারণে নির্বাচনে আইনি জটিলতা হতে পারে বলেও আলোচনা হয়। কারা কারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন সেটাও দলীয় প্রধানকে অবহিত করেন নেতারা। তবে এই বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার কথা বলেন দলীয় প্রধান।
এই বৈঠকের অংশ নন, তবে কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারক একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিগগিরই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই পরিস্থিতিতে দলকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যেই সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক করা হয়।
No comments:
Post a Comment